পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, আলাক-১।
মহাগ্রন্থ আল-কুরআন এই আয়াতটি সর্ব প্রথম নাযিল হয় যেখানে আল্লাহ মানুষকে পড়তে বা জ্ঞান অর্জন করতে বলেছেন। পৃথীবিতে জ্ঞান অর্জন এর জন্য যত বই বা গ্রন্থ আছে তার মধ্যে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনী একমাত্র গন্থ যা সঠিক শুদ্ধতম এবং যার মধ্যে সামান্য তম সন্দেহের অবকাশ নাই। তাই আল্লাহ সূরা বাকারায় বলেছেন “এটি এমন একটি গ্রন্থ যার মধ্যে কোন সন্দেহ নেই, বাকারা-২। সুতরাং মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে আল্লাহ যে সকল বিষয় বলেছেন তা সঠিক। আল্লাহ কুরআন নাযিল করেছেন মানুষকে হেদায়াত বা সঠিক পথ দেখানোর জন্য। অর্থৎ মানুষ তার জীবনে যত কাজ করে তার মূলনীতি দেয়া আছে আল-কুরআনে। যেমন- তার ব্যাক্তিগত জীবন, তার পরিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, অর্থনৈতিক জীবন সহ সকল বিষয়ের সঠিক পদ্ধতি বা মূলনীতি আছে আল-কুরআরনে। মানুষ যদি চায় তার জীবনের সকল বিষয় সঠিক হোক তাহলে তাকে কুরআনের দেখানো পন্থা ও পদ্ধতিতে কাজ সম্পন্ন করতে হবে। মানুষের দুনিয়া ও আখেরাতে সাফল্যের একমাত্র চাবি কাঠি হচ্ছে কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ। উদাহরণ স্বরুপ আল্লাহ যেহেতু মানুষের স্রষ্টা তাই তিনি সবচেয়ে ভালো জানেন তার সকল বিষয় সম্মন্ধে, তার পেটে কোন খাবার উপযোগী কোন খাবার তার শরীরের জন্য উপযোগী কোনটি ক্ষতিকর তাই আল্লাহ কোন খাবারকে হালাল কোন খাবারকে হারাম করেছেন। অর্থৎ আল্লাহর জানে যে কোন খাবার তার শরীরের জন্য উপকারী তা হালাল, যা ক্ষতিকর তা হারাম। এভাবে একজন মানুষের সারা জীবনে যা তার উপকারী তা তার জন্য করণীয় এবং যা ক্ষতি কর তা নিষিদ্ধ করেছেন। তাই একজন মানুষ যদি পুরো কুরআন সম্পর্কে না জানে যে আল্লাহ তার জন্য কোনটি করণীয় আর কোনটি বর্জণীয় করেছেন তাহলে সে তার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারবেন না এবং ক্ষতিকর বিষয় বর্জন করতে পারবে না। ফলস্বরূপ তার জীবনে নেমে আসবে বিভিন্ন বিপর্যয়। কোন ভাবেই সে দুনিয়া এবং আখেরাতে সফল হতে পারবে না। তাই একজন মানুষের জন্য মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের জ্ঞান অর্জন করা ফরজ একান্ত কর্তব্য বা ফরজে আইন। আল-কুরআন একাডেমী বাংলাদেশ প্রতিটি মানুষের জন্য তাই কুরআনের এই জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে সহযোগীতা করতে উদ্দ্যোগ গ্রহণ করছে। আমরা সহযোগীতা করতে চাই সহীহ তিলাওয়াত শিখতে কুরআনের ভাষা শিখতে। এজন্য আমরা আল-কুরআন শিক্ষার বিভিন্ন কোর্স চালু করেছি যা এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। আল্লাহ আমাদের এই উদ্দ্যোগকে কবুল করুন। আমীন!